বিশ্বকাপে শেষ চারে যাওয়ার মিশনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে জিতেছে পাকিস্তান। তাতেই খুশি পাকিস্তানের সমর্থকরা।
ম্যাচ শেষে পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জনতা সবসময় পাকিস্তান দলকে সমর্থন দেয়। সমর্থনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও অবশ্য ফিল্ডিং নিয়ে খুশি নন সরফরাজ। গত ম্যাচের মতো এবারও ফিল্ডিংয়ে জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি, ‘ফিল্ডিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজও আমরা ফিল্ডিং ভাল করিনি। অনুশীলনে ফিল্ডিং নিয়ে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ’
তবে এমন জয়ে খুশি সরফরাজ। সেই আনন্দ-ই ঝরে পড়লো তার কণ্ঠে, ‘আজকের ফল দেখে আমি খুশি। যখন পাকিস্তান দল চাপে পড়ে তখনই ভাল করে। এটা দলের চমৎকার প্রচেষ্টা। ’
কিউইদের কম রানে বেধে ফেলায় তিনি প্রশংসা করেছেন বোলারদের, ‘আমির শুরুটা করেছে দুর্দান্ত। তারপর মিডল ওভারে শাহীন-শাদাব দুর্দান্ত বল করেছে। ব্যাটিংয়ে বাবর-হারিস চমৎকার করেছে। ’
পাকিস্তানকে জয় এনে দেওয়ার মূল কাজটি করেছেন বাবর আজম। বিশ্বকাপে অভিষেক সেঞ্চুরিও পেয়েছেন তিনি। তার জন্য বাবর প্রশংসা পেয়েছেন সরফরাজের, ‘আমার দেখা সেরা এক ইনিংস খেলেছেন বাবর। তাও আবার এমন একটি কঠিন পিচে। সে ৫০ ওভার ব্যাট করতে চেয়েছে। কৃতিত্ব দিতে হবে হারিস সোহেলকেও। চাপের মধ্যে সে ব্যাটিং করেছে। ’
সেমিতে যেতে হলে এখনো দু’টি বাধা পার করতে হবে পাকিস্তানকে। তবে দলটি অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে। কারণ তখনকার মতো-ই এবারের বিশ্বকাপে এগোচ্ছে পাকিস্তান। অবশ্য তা নিয়ে ভাবছেন না সরফরাজ, ‘আমরা ১৯৯২ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না। আমরা এক গেমের পর আরেক গেম নিয়ে ভাবছি। দল হিসেবে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আশা করি ভাল কিছু করতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২১৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
ইউবি